CPA মার্কেটিং করে কিভাবে বাংলাদেশে ডলার ইনকাম করা যায়

 বর্তমান ডিজিটাল ও ইন্টারনেট যুগে বাংলাদেশে অনলাইনে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। কিন্তু নতুনদের জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায়গুলো হলো একটি  CPA মার্কেটিং। অনেকে জানতে চান - CPA মার্কেটিং করে কিভাবে বাংলাদেশে ডলার ইনকাম করা যায়।


CPA মার্কেটিং করে কিভাবে বাংলাদেশের ডলার ইনকাম

এই প্রশ্নের উত্তর আজকের এই বিস্তারিত গাইডে আপনি পাবেন। কিভাবে CPA মার্কেটিং করে বাংলাদেশ ডলার ইনকাম করা যায়। 

সূচিপত্রে মার্কেটিং করে কিভাবে বাংলাদেশে ডলার ইনকাম করা যায়


CPA মার্কেটিং কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে

CPA মার্কেটিং বা "Cost Per Action " মার্কেটিং হল এমন একটি অনলাইন আয় করার পদ্ধতি, যেখানে কেউ কোন নির্দিষ্ট আকশান সম্পন্ন করলে (যেমন ফর্ম  পূরণ, অ্যাপ ডাউনলোড, ইমেইল সাবমিট বা ট্রায়াল সাইন আপ) আপনি কমিশন পান। এটি মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি অংশ, তবে এখানে বিক্রি না হলেও ইনকাম করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি কোন কোম্পানির অফার প্রমোট করেন এবং কেউ সে লিংকে ক্লিক করে একটি ফর্ম পূরণ করে, তাহলে কোম্পানি আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে ডলার দেয়। বাংলাদেশের তরুণরা এখন অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন MaxBounty, CPAlead বা ClickDealer  ব্যবহার করে এই CPA মার্কেটিং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। শুরুতে কিছু প্রাথমিক দক্ষতা যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, ট্রাফিক জেনারেশন, ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশন জানা জরুরী. ফেসবুক অ্যাডস , গুগল অ্যাডস, কিংবা ইউটিউব এর মাধ্যমে বিদেশি অফার প্রমোট করা যায়। সফলভাবে কাজ করলে প্রতিদিন কয়েক ডলার থেকে শত ডলার পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব। তাই বাংলাদেশের তরুণদের জন্য CPA মার্কেটিং এখন এক জনপ্রিয় অনলাইন ইনকামের উৎস, যা ঘরে বসে বৈধ উপায়ে ডলার আয় করার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

বাংলাদেশের CPA মার্কেটিং কেন জনপ্রিয়

বাংলাদেশে CPA (Cost Per Action )মার্কেটিং আজ এর নতুন ডিজিটাল বিপ্লবের নাম। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন তরুণরা ঘরে বসে এই বিভিন্ন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞাপন প্রচারে অংশ নিচ্ছে এবং প্রতিটি আকশান ক্লিক বা সাইন আপের বিনিময়ে আয় করছে ডলার। এটি শুধু একটি অনলাইন আয়ের উপায় নয়, বরং একটি স্বাধীন জীবনের দিগন্ত উন্মোচন করেছে। স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ও সৃজনশীল চিন্তার সমন্বয়ে CPA মার্কেটিং আজ তরুণ সমাজের কাছে এক রোমাঞ্চ কর যাত্রা - যেখানে পরিশ্রম, কৌশল আর ডিজিটাল দক্ষতা মিলেই গড়ে ওঠে সফলতার গল্প। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা, তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ, এবং ফ্রিল্যান্সিং সংস্কৃতির প্রসার CPA মার্কেটিং কে আরোও জনপ্রিয় করে তুলেছে। কেউ কাজ করছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাফিক আনার জন্য, কেউ আবার ওয়েবসাইট বা ভিডিওর মাধ্যমে লিড জেনারেশন করছে. এই খাতে রয়েছে স্বাধীনতা, সৃজনশীলতা এবং সীমাহীন আয়ের সুযোগ. তাই CPA মার্কেটিং আজ কেবল একটি কাজ নয়, বরং আধুনিক বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির রোমাঞ্চকর এক যাত্রা।

CPA  মার্কেটিং শুরু করার ধাপসমূহ

1.সঠিক নেটওয়ার্ক বেছে নিন

সঠিক নেটওয়ার্ক বেছে নেওয়া অনলাইন কাজ, যোগাযোগ ও ব্যবসা সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্ভরযোগ্য ও দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক কাজের গতি বাড়ায়, সময় বাঁচায়, এবং সংযোগ স্থিতিশীল রাখে। তাই নেটওয়ার্ক বাঁচায় রাখে এর মান, সেবা ও গ্রাহক সহায়তা ভালোভাবে যাচাই করা উচিত।

2.সঠিক অফার নির্বাচন করুন

সঠিক অফার নির্বাচন করা ব্যবসা বা ব্যক্তিগত কেনাকাটার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে বাজার বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন এবং বিভিন্ন বিকল্পের সুবিধা ও খরচ তুলনা করতে হবে। অফারের বৈশিষ্ট্য, প্রাপ্যতা, মান, কাস্টমার রিভিউ এবং পরে সাপোর্ট সিস্টেমের খতিয়ে দেখা উচিত। শুধু মাত্র কমদামের কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া কখনোই নিরাপদ নয়, বরং মান, দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা ও ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন। এছাড়া লুকানো চার্জ বা শর্তাবলী লক্ষ্য করা জরুরী। সঠিক অফার বেছে নিলে অর্থ ও সময় দুয়েরই সাশ্রয় হয়, এবং মানসম্পন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত হয়। এটি ব্যবসা বা ব্যক্তিগত উভয় ক্ষেত্রে স্মার্ট সিদ্ধান্তের পরিচায়ক। 

3.ট্রাফিক তৈরি করুন

আজকের ডিজিটাল যুগে ওয়েবসাইট বা অনলাইন ব্যবসায়ী সফলতার জন্য ট্রাফিক তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাফিক হলো  ব্যবহারকারীর সংখ্যা যা আপনার ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্মে আসে। এটি বৃদ্ধি করতে এসইও(SEO), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল ক্যাম্পেইন এবং কন্টেন্ট রাইটিং মার্কেটিং ব্যবহার করা যায়। মানসম্মত এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করলে দর্শকরা প্রলুব্ধ হয়। এছাড়া পেইড অ্যাডভাইটিজিং ও গেস্ট পোস্টিংয়ের মাধ্যমে নতুন দর্শক আকৃষ্ট করা সম্ভব। ট্রাফিক বৃদ্ধির মাধ্যমে কনভার্সন বেট ও বিক্রিও বাড়ে। নিয়মিত বিশ্লেষণ এবং কৌশল পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি আরোও  কার্যকর করা যায়।

ট্রাফিক আনবেন কিভাবে

  • ফেসবুক মার্কেটিং ; ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে ট্রাফিক আনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক লক্ষ্যবস্তু দর্শক নির্ধারণ করা। প্রথমে আপনার ব্যবসা পণ্যের ধরন অনুযায়ী একটি আকর্ষণীয় ফেসবুক পেজ তৈরি করা। এরপর নিয়মিতভাবে মানসম্মত, তথ্যবহুল, এবং দৃষ্টি নন্দন পোস্ট দিন যাতে দর্শকরা আকৃষ্ট হয়।পেইড ফেসবুক অ্যাড  (Boost Post বা Facebook Ads Manager) ব্যবহার করে নির্দিষ্ট বয়স, এলাকা, আগ্রহ ও আচরণে ভিত্তিতে লক্ষ্যভিত্তিক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। পোস্টে ওয়েবসাইট বা ল্যান্ডিং পেইজের লিংক যুক্ত করলে সরাসরি ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি ফেসবুক গ্রুপ, রিলস ও লাইভ ভিডিও ব্যবহার করে এনগেজমেন্ট বাড়ানো যায়। মন্তব্যের জবাব দেওয়া এবং ইনবক্সে সক্রিয় থাকা গ্রাহকে  আস্থা  বৃদ্ধি করে। ধারাবাহিক প্রচারণা ও সঠিক কনটেন্ট স্টার্টেজির মাধ্যমে ফেসবুক মার্কেটিং থেকে দীর্ঘমেয়াদে প্রচুর অর্গানিক ও পেইড ট্রাফিক আনা সম্ভব।
  • ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং; youtube ভিডিও মার্কেটিং এর মাধ্যমে ট্রাফিকানা একটি কার্যকর অনলাইন কৌশল। প্রথমে আপনার টার্গেট দর্শকদের বুঝে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল ভিডিও তৈরি করতে হবে। ভিডিও টাইটেল, ডেসক্রিপশন এবং ট্যাগের সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে search ranking বাড়ে এবং অর্গানিক ট্রাফিক আসে। ভিডিওর শুরুতে দর্শকদের আকর্ষণ করতে মনমুগ্ধকর হুক ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ. এছাড়া ভিডিও শেষে কল টু অ্যাকশন যোগ করে দর্শকদের ওয়েবসাইট, পণ্য বা সার্ভিস যেতে উৎসাহিত করা যায়. নিয়মিতভাবে ভিডিও আপলোড করা, দর্শকদের কমেন্টে  রিপ্লাই দেওয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করাও ট্রাফিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে. সবচেয়ে ভালো ফল পেতে ভিডিও থাম্বনেইল ও ইউটিউব SEO - এর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এভাবে ধারাবাহিক প্রচার ও মানসম্মত কনটেন্ট এর মাধ্যমে ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং থেকে বিপুল ট্রাফিক আনা সম্ভব।
  • ব্লগ বা ওয়েবসাইট SEO; ব্লগ বা ওয়েবসাইটে SEO ব্যবহার করে ট্রাফিক আনা বর্তমানে সবচেয়ে কার্যকর উপায় গুলোর একটি। SEO এর মাধ্যমে আপনি আপনার কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসতে পারেন, যা অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করে। এজন্য প্রথমে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে টার্গেট অডিয়েন্স অনুযায়ী মানসম্মত ও তথ্যবহুল কনটেন্ট তৈরি করতে হয়। পাশাপাশি অন - পেজ SEO যেমন টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন, ইমেজ অল্ট ট্যাগ এবং ইন্টারনাল লিংকিং সঠিকভাবে ব্যবহার করা জরুরী। অফ -পেজ SEO যেমন ব্যাকলিংক ও সোশ্যাল শেয়ারিং, ওয়েবসাইটের অথরিটি বাড়ায়। নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত রাখলে দীর্ঘ মেয়াদে ওয়েবসাইটে স্থায়ী ট্রাফিক আনা সম্ভব।
  • Quora ট্রাফিক; Quora এবং Reddit থেকে ট্রাফিক আনার জন্য প্রথমে আপনাকে প্লাটফর্মগুলোতে নিয়মিত ভাবে সক্রিয় থাকতে হবে।Quora তে আপনার নিস (Nche) সম্পর্কিত প্রশ্নগুলির গভীর ও তথ্য সমৃদ্ধ উত্তর দিন, এবং উত্তরের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের লিংক যুক্ত করুন।Reddit -এ subreddit নির্বাচন করে দরকারি ও মূল্যবান, পোস্ট শেয়ার করুন কিন্তু কখনোই সরাসরি প্রমোশন করবেন না - বরং মূল্য প্রদান করে বিশ্বাস তৈরি করুন। প্রাসঙ্গিক মন্তব্য অংশ নিন, আলোচনা চালান, এবং সময়ের সাথে সাথে নিজের প্রোফাইলকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলুন। এভাবে Quora ও Redditথেকে অর্গানিক ও লক্ষ্যভিত্তিক ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটে আনতে পারেন। 
  • Paid ট্রাফিক; Paid ট্রাফিক হল এমন এক ধরনের ওয়েব ট্রাফিক যা অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যায়। অর্থাৎ, আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে, পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেন এবং সেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে আসে সেটাই  Paid  ট্রাফিক।এটি সাধারনত Google Adas, Facebook Ads, You Tube Ads, Instagram Ads ইত্যাদির মাধ্যমে পাওয়া যায়।Paid ট্রাফিকের মূল উদ্দেশ্য হলো দ্রুত ও লক্ষ্যভিত্তিক দর্শক আকর্ষণ করা, যাতে বিক্রি বা লিড বৃদ্ধি পায়। এটি অর্গানিক ট্রাফিকের তুলনায় অনেক দ্রুত ফল দেয়, কারণ আপনি নির্দিষ্ট বয়স, এলাকা, আগ্রহ বা আচরণে ভিত্তিতে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স নির্বাচন করতে পারেন। তবে এর জন্য সঠিক বাজেট পরিকল্পনা ও বিজ্ঞাপন পরিচালনার দক্ষতা প্রয়োজন। সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে Paid ট্রাফিক আপনার ব্যবসার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।


5. CPA মার্কেটিং একাউন্ট থেকে ডলার আয় ও উত্তোলনের উপায়

CPA মার্কেটিং একাউন্ট থেকে ডলার আয়  ও উত্তোলনের জন্য কিছু নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। প্রথম আপনি যেই CPA নেটওয়ার্ক এ কাজ করেছেন, যেমন MaxBounty, CPAlead বা Click Dealer - সেই প্ল্যাটফর্মে Payment Method ঠিকভাবে সেট করতে হবে।সাধারনত PayPal, Payoneer, Skrill এবং ব্যাংক ট্রান্সফার সবচেয়ে জনপ্রিয় উত্তোলন পদ্ধতি। বাংলাদেশ Payneer অনেক বেশি ব্যবহৃত হয় কারণ এটি সহজে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গ্রহণ ও ব্যাংকের ট্রান্সফার করতে দেয়। আপনার আয়  নির্দিষ্ট থ্রেশহোল্ড ( যেমন $50 বা $100) পূর্ণ হলে, আপনি "Request Payment" অপশনে গিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। উত্তোলনের আগে আপনার একাউন্টের সব তথ্য যেমন, নাম ঠিকানা ও ব্যাংক বিবরণ সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করা জরুরী। উত্তোলিত ডলার সাধারণ.২ - ৫ কার্য দিবসের মধ্যে ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়। এভাবে নিরাপদভাবে CPA মার্কেটিং আই বাংলাদেশ থেকে তোলা যায়।

6. CPAমার্কেটিং এর সফল হওয়ার টিপস

CPA (Cost Per Action ) মার্কেটিং এ সফল হতে হলে কিছু কৌশল জানা খুবই জরুরী। প্রথমেই সঠিক নিস নির্বাচন করতে হবে - যেখানে মানুষের আগ্রহ বেশি এবং কনভারশন সহজে পাওয়া যায়। নির্ভরযোগ্য  CPA নেটওয়ার্কের যোগ দিন, যেমন MaxBounty, Click Dealer, CAPLead । এরপর টার্গেট অডিয়েন্স বিশ্লেষণ করুন। এবং তাদের জন্য উপযুক্ত অফার বেছে নিন ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য ফেসবুক অ্যাডস , গুগল অ্যাডস কিংবা TikTok মার্কেটিং ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া কনটেন্ট মার্কেটিং ও ইমেইল লিস্ট তৈরি করা ও খুব কার্যকর। সব সময় অফারের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করুন এবং A/B টেস্টিং করে কোন ক্যাম্পেইন ভালো কাজ করছে তা নির্ধারণ করুন।  ধৈর্য ধরে নিয়মিত শিখতে থাকুন, কারণ CPA  মার্কেটিং এ সফলতা একদিনে আসে না।, সঠিক পরিকল্পনা ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও বিশ্লেষণমূলক মানসিকতা থাকলে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য আয় করা সম্ভব।


7. বাংলাদেশের সফল CPA মার্কেটারদের বাস্তব উদাহরণ

বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক তরুণ CPA মার্কেটিং এর মাধ্যমে সফলতা অর্জন করেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নাম হলো রিয়াজুল ইসলাম, নাহিদ হাসা্‌ন  ও সাদিয়া তাসনিম। তারা ফেসবুক অ্যাড,   ইউটিউব প্রমোশন এবং ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক CPA নেটওয়ার্কেকাজ করে মাসে হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করছেন। বিশেষ করে রিয়াজুল ইসলাম মার্কেট রিসার্চ ও কনভার্শন স্ট্রাটেজিতে পারদর্শী হয়ে তরুণদের জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন। তাদের এই সাফল্য বাংলাদেশের তরুণদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে যে সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরিশ্রম থাকলে ঘরে বসেই আন্তর্জাতিক মার্কেট থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। CPA মার্কেটিং এখন বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

8.CPA মার্কেটিং এর সম্ভাব্য আয়

CPA (Cos Per Action ) মার্কেটিং বর্তমান ডিজিটাল যুগে একটি সম্ভাবনাময় আয়ের উৎস। এতে কোন পণ্য বিক্রি না করেও নির্দিষ্ট কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়,  যেমন- ফর্ম পূরণ, , অ্যাপ ডাউনলোড বা ইমেইল সাবমিট করা। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য এটি অনলাইন ইনকামের একটি বাস্তব সুযোগ, কারণ এতে অল্প মূলধন ও দক্ষতা দিয়েই শুরু করা সম্ভব। সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন, লক্ষ্যভিত্তিক ট্রাফিক ব্যবহার এবং ডিজিটাল মার্কেটিং জ্ঞান থাকলে CPA  মার্কেটিং থেকে দীর্ঘ মিয়াদি ও স্থিতিশীল আয় সম্ভব। এটি ভবিষ্যতের অনলাইন ক্যারিয়ারের জন্য একটি শক্তিশালী পথ হতে পারে।

CPA মার্কেটিং শেখা রিসোর্স ও কোর্স

CPA মার্কেটিং শেখা বর্তমানে অনলাইন আয়ের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কে নির্দিষ্ট একটি অ্যাকশান, সম্পন্ন করলে যেমন ফর্ম পূরণ, অ্যাপ ইন্সটল বা  সাবস্ক্রিপশন নেওয়া, আপনি কমিশন পান। সিপিএম মার্কেটিং শিখতে চাইলে প্রথমে বেশি ডিজিটাল মার্কেটিং ধারণা থাকা জরুরী। শেখার জন্য অনেক অনলাইন রিসোর্স রয়েছে - যেমনYouTube টিউটোরিয়াল, Udemy, Coursera, এবং Skillshareএর কোর্স।FreeCPA academy, MaxBountyBlog এবংClickDealer এর মত সাইট থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। ফেসবুক গ্রুপ ও অনলাইন কমিউনিটি গুলো থেকেও টিপস ও আপডেট জানা সম্ভব। নিয়মিত প্র্যাকটিস, ট্রাফিক সোর্স বোঝা এবং অফার নির্বাচন করার কৌশল আয়ত্ত করলে সিপিএ মার্কেটিং থেকে ভালো আয় করা যায়। সঠিক গাইডলাইন  ও ধৈর্য্যের মাধ্যমে এটি হতে পারে আপনার অনলাইন ক্যারিয়ারের একটি শক্তিশালী দিক। 

উপসংহার

সবশেষে বলা যায় - 

বর্তমান ডিজিটাল ও ইন্টারনেট যুগে CPA মার্কেটিং করে কিভাবে বাংলাদেশের ডলার ইনকাম করা যায় তা জানলে আপনি ঘরে বসেই অনলাইন আয়  আরেকটি নির্ভরযোগ্য পথ তৈরি করতে পারবেন।

আপনাকে কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে না, কোন স্টক রাখতে হবে না - শুধু সঠিক অফার, সঠিক ট্রাফিক সোর্স এবং নিয়মিত প্রচেষ্টা হলেই সাফল্য আসবে।

👉তাই আজোই আপনার প্রথম CPA নেটওয়ার্কের Account খুলুন,

👉অফার নির্বাচন করুন,

👉ট্রাফিক শুরু করুন - 

এবং বাস্তবে দেখে নিন কিভাবে CPA মার্কেটিং করে বাংলাদেশের ডলার ইনকাম করা যায়।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url